ইমাম খাইর, সিবিএন:
নাশকতা প্রতিরোধে কক্সবাজারে ২০১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে।

কমিটিতে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার আহবায়ক ও পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে

এই কমিটির নানা পদে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাবেক-বর্তমান ছাত্রনেতা, জাসদ নেতা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা রয়েছেন।

একই সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের রেখে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে কোটা আন্দোলনের নামে কক্সবাজারের ডিসি অফিস, এসপি অফিস, সদর থানা, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল জানিয়েছেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগারেও নাশকতার ছক তৈরি করেছিল চক্রটি।

এ বিষয়ে ২৪ জুলাই কক্সবাজার পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমল আরো বলেন, কক্সবাজারে সংঘটিত নাশকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল না। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করেছে। এরা আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর, ছাত্রলীগ নেতা রাজীবকে হাত কেটে দেয়ার চেষ্টা করা হয় ১৬ জুলাই। তার পরদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে তারা। এরপর ডিসি অফিস, সদর থানা, বিমান বন্দর ও এসপি অফিসে একযোগে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এ পরিকল্পনার সময় জেলা কারাগারে হামলার ছকও তৈরি করেছিল তারা। এর জন্য জেলার লোক ছাড়াও বহিরাগতদের আনা হয়েছিল। মুলত ১৭ ও ১৮ জুলাই ২ দিন এমন চেষ্টার তথ্য পেয়েছে হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল।

১৭ ও ১৮ জুলাই দুইদিনের আন্দোলনের পক্ষের মিছিলের বর্ণনা দিয়ে হুইপ কমল বলেন, দুই দিনই মিছিলটি সারাদিন লিংক রোড, বাস টার্মিনাল, আলী জাহাল, রুমালিয়ারছড়া, টেকপাড়া, বাজারঘাটা এলাকায় ঘুরতে থাকে। সন্ধ্যার পর পশ্চিম দিকে অগ্রসরের চেষ্টা করেছিল। যদিও দলীয় নেতাকর্মী, জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধে তা সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

আন্দোলনের নামের নাশকতাকারী কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও, ছবি, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে জেলা নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি ঘোষণা করেন সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে এই কমিটি গঠন করা হবে। এটা কক্সবাজারের ১৪ দলীয় ঐক্যজোটের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।